ফিল সল্টকে অন্য প্রান্তে রেখে আসা–যাওয়ায় ব্যস্ত ছিলেন উইল জ্যাকস, জর্ডান কক্স, জ্যাকব বেথেল ও অধিনায়ক লিয়াম লিভিংস্টোন। তাতে প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার আগেই ২৪ রানে ৪ উইকেট নেই ইংল্যান্ডের।
স্যাম কারেন ও ড্যান মাউসলেকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর সেই বিপর্যয় ভালোভাবেই সামাল দিয়েছিলেন সল্ট। এরপর লোয়ার অর্ডারে নামা জেমি ওভারটন ও জফরা আর্চারের ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস দুটি ইংল্যান্ডকে নিয়ে যায় আড়াই শর ওপারে।
কিন্তু ব্রান্ডন কিং ও কিচি কার্টির সেঞ্চুরিতে ইংলিশদের সব প্রচেষ্টাই ম্লান হলো। অঘোষিত ফাইনালে রূপ নেওয়া ম্যাচটা অনায়াসে জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রান করে ইংল্যান্ড। কিং–কার্টির সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে ৮ উইকেট ও ৭ ওভার বাকি রেখে।
রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ৪২ রানে আউট হন এভিন লুইস। এরপর কার্টিকে সঙ্গে নিয়ে ২০৯ রানের জুটি গড়েন কিং, যা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে যেকোনো উইকেট জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ।
১৩ চার ও ১ ছক্কায় কিং ১০২ রান করে যখন আউট হন, তখন জয় থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর অধিনায়ক শাই হোপকে নিয়ে দ্রুতই বাকি কাজ সেরেছেন কার্টি।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়ার রাতে কার্টি ১৫ চার ও ২ ছক্কায় ১২৮ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা উঠেছে কিংয়ের হাতে। আর এ ম্যাচে ৩ উইকেটসহ সিরিজে ৮ উইকেট নেওয়া পেসার ম্যাথু ফোর্ড পেয়েছেন সিরিজসেরার স্বীকৃতি।
ম্যাচ শেষে কৃতিত্বটা সতীর্থ কার্টিকেই দিয়েছেন কিং, ‘কিচি (কার্টি) চমৎকার ইনিংস খেলেছে। তাকে স্বচ্ছন্দ মনে হয়েছে এবং ইনিংসের বেশির ভাগ সময় সে আমার চেয়ে ভালো ব্যাটিং করেছে।’
এ নিয়ে টানা তিনটি ওয়ানডে সিরিজ হারল ইংল্যান্ড। আগের দুটি সিরিজ হেরেছিল গত সেপ্টেম্বরে নিজেদের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ও গত বছর ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে।
দুই দলের টি–টোয়েন্টি সিরিজ শুরু আগামী শনিবার। ৫ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি কেনসিংটন ওভালেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৬৩/৮
(সল্ট ৭৪, মাউসলে ৫৭, কারেন ৪০, আর্চার ৩৮*, ওভারটন ৩২; ফোর্ড ৩/৩২, শেফার্ড ২/৩৩, জোসেফ ২/৪৫)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৩ ওভারে ২৬৭/২
(কার্টি ১২৮*, কিং ১০২, লুইস ১৯, হোপ ৫*; ওভারটন ১/১৭, টপলি ১/৫৫)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ব্রান্ডন কিং।
ম্যান অব দ্য সিরিজ: ম্যাথু ফোর্ড।
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২–১ ব্যবধানে জয়ী।