প্রথম দুই ম্যাচে টানা জয়ে অনায়াসেই সিরিজ জয়ের পথেই ছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে এখন আর তা সহজ নেই। তৃতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর পর চতুর্থ ম্যাচেও বড় জয় পেয়েছে ইংলিশরা। ফলে শেষ ম্যাচটা রূপ নিয়েছে অলিখিত ফাইনালে।
অস্ট্রেলিয়াকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে শুক্রবার সিরিজে সমতায় ফেরায় ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে লর্ডসে ইংলিশদের জয় ১৮৬ রানে। তাদের করা ৩১২ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে যায় ১২৬ রানে।
বৃষ্টির কারণে এদিন খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময় থেকে দেরিতে। ফলে ওভার কমে আসে, খেলা হয় ৩৯ ওভারে। তবে তার প্রভাব পড়েনি ইংলিশদের ব্যাটিংয়ে। আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩১২ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা।
৯.৪ ওভারের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৪৮ রান। ফিল সল্ট ফেরেন ২২ রানে। এরপর উইল জ্যাকস (১০) দ্রুত ফিরলে ইনিংসের হাল ধরেন বেন ডাকেট ও হ্যারি ব্রুক। দু’জনে মাত্র ৫৩ বলে যোগ করেন ৭৯ রান। ডাকেট ফেরেন ৬২ বলে ৬৩ রান নিয়ে।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে জেমি স্মিথকে নিয়ে আরো ৭৫ রান যোগ করেন হ্যারি ব্রুক। ৩০.২ ওভারে ৫৮ বলে ৮৭ রান করে জাম্পার শিকার হন ব্রুক। পরের ওভারে ৩৯ রান করা স্মিথও ফেরেন। এরপরই তাণ্ডব চালান লিভিংস্টোন।
২৫ বলেই ফিফটি হাকান লিভিংস্টোন। ২৭ বলে ৩ চার ও ৭ ছক্কায় ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। সাথে বেথেল ১৯ বলে ১২ রান করেন। জাম্পা দুই ও হ্যাজলউড আর মার্শ নেন একটা করে উইকেট।
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভালো শুরু পায় অস্ট্রেলিয়া। উদ্বোধনী জুটিতে মিচেল মার্শ ও ট্রাভিস হেড যোগ করেন ৬৮ রান। নবম ওভারে কার্সের বলে বোল্ড হয়ে হেড ফেরেন ২৩ বলে ৩৪ রান করে। অজিদের পথ হারানোর শুরু সেখান থেকেই।
পরের ওভারেই ফেরেন স্টিভেন স্মিথ (১০)। এরপরই বিদায় নেন আরেক ওপেনার মার্শ। ২৮ রান করে আউট হন তিনি। আর্চার-পটসরা ততক্ষণে যেন আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন। বিনা উইকেটে ৬৮ রান করা অজিরা তিন অংক ছুঁয়ে ফেলার আগেই তুলে নেন ৬ উইকেট!
বাকিদের মধ্যে কেবল দু’জন স্পর্শ করেন দুই অঙ্ক। অ্যালেক্স কেয়ারি ১৩ ও শন অ্যাবট ১০ রান। ফলে ২৪.৪ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ১২৬ পর্যন্ত পৌঁছায় অজিরা।
ইংলিশদের হয়ে ৮ ওভারে ৩৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন ম্যাথিউ পটস। ৬ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন কার্স। ৭ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে জোড়া শিকার করেন জোফরা আর্চার। বাকি উইকেটটি নেন আদিল রশিদ।
আগামীকাল রোববার ব্রিস্টলে সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। অবস্থা বিবেচনায় যাকে বলা যায় অলিখিত ফাইনাল।