আধুনিক ফুটবলে আক্ষরিক অর্থেই টাকার।সেই টাকার পরিমাণ এতই বেশি যে সংখ্যাগুলো সাধারণ মানুষের কল্পনারও বাইরে। প্রতি মৌসুমে দলবদলের সময় কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ নিয়ে হাজির হয় ক্লাবগুলো।
প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পছন্দের খেলোয়াড়দের কিনে নেয় একেকটি ক্লাব। যার মধ্য দিয়ে আসে সাফল্যও। সাম্প্রতিক সময়ে ম্যানচেস্টার সিটির সাফল্যের সমার্থক হিসেবে কেউ চাইলে অর্থকে সামনে আনতেই পারেন। উল্টো চিত্রও আছে।
পিএসজি যেমন বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করেও ইউরোপে সাফল্যের দেখা পায়নি। ফলে সব সময় যে অর্থের কারণে সাফল্য আসবে, সেটা না–ও হতে পারে। এরপরও দলগুলোর টাকা ওড়ানোর খেলা থামছে না। আর টাকা ওড়ানোর এ খেলায় কোচদেরও ভূমিকা থাকে অনেক। পেপ গার্দিওলা-জোসে মরিনিওরা বেশি দামে খেলোয়াড় কিনে অভ্যস্ত। শীর্ষ তারকাদের চড়া দামে কিনে এনে সাফল্য নিশ্চিত করতে চান তাঁরা। বিপরীতে ইয়ুর্গেন ক্লপের মতো কোচরা উল্টো পথে হাঁটতে পছন্দ করেন।
দামি খেলোয়াড় কেনার চেয়ে খেলোয়াড়দের তৈরি করার ওপর বিশেষ জোর দেন তাঁরা। তবে হুটহাট দাম দিয়ে খেলোয়াড় কিনতে দেখা গেছে ক্লপকেও। যদিও তা খরুচে কোচদের শীর্ষ দশে জায়গা দেয়নি তাঁকে। এই তালিকায় একচ্ছত্র দাপট গার্দিওলার।
কোচিং ক্যারিয়ারে বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ এবং ম্যানচেস্টার সিটির ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এই তিন ক্লাবের হয়ে তিনি ট্রফি জিতেছেন ৩৯টি। আর এ জন্য খেলোয়াড় কিনতে এই স্প্যানিশ কোচ খরচ করেছেন ২০৬ কোটি ইউরো বা প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা। এই অঙ্ক যেকোনো কোচের চেয়ে বেশি।
তালিকার দুইয়ে থাকা জোসে মরিনিও খরচ করেছেন ১৯১ কোটি ইউরো। রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসি এবং ইন্টার মিলানসহ বেশ কিছু শীর্ষ ক্লাবে কোচিং করা মরিনিও ক্যারিয়ারে জিতেছেন ২৬টি ট্রফি। রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি ২৯ শিরোপা জয়ের পথে খেলোয়াড় কিনতে খরচ করেছেন ১৭৯ কোটি ইউরো। তালিকার শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য দুজন হলেন ম্যাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি ও দিয়েগো সিমিওনে।