গণতান্ত্রিক অর্থনীতিই বৈষম্য ও অপরাধ নিরাময় করতে পারে

অর্থনীতি ও রাজনীতিতে গত দেড় দশকে ব্যাপক দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। নীতিনির্ধারণ ও প্রণয়নে লুটেরা গোষ্ঠীকে দেয়া হয়েছে অগ্রাধিকার। রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যও আবর্তিত হয়েছে ক্ষমতার বলয়কে ঘিরে। এতে দেশের মানুষের মধ্যে সম্পদ ও ধনবৈষম্য তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরগুলোয় সম্পদ পাচারকারীরা যখন শান-শওকতে জীবনযাপন করছে, ঠিক তখনই জীবন-জীবিকার ন্যূনতম প্রয়োজনগুলো পূরণ করতে নিরন্তর সংগ্রাম করছে কোটি বাংলাদেশী। অর্থনীতিতে যে বৈষম্য ও আর্থিক অপরাধের প্রবণতা তৈরি হয়েছে, সেগুলোকে দূর করতে প্রয়োজন গণতান্ত্রিক অর্থনীতি। যেখানে উদ্যোক্তা, শ্রমিক, ভোক্তা, সরবরাহকারী ও বৃহত্তর জনসাধারণের নিজ নিজ স্বার্থ সংরক্ষণের নিশ্চয়তা থাকবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে সব অংশীজনের অধিকার হবে সর্বজনীন। শাসনক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা ব্যক্তি তথা রাজনীতিবিদদের অবশ্যই সৎ হতে হবে। অসৎ রাজনীতিবিদ দিয়ে কখনই সততার অর্থনীতি বিনির্মাণ সম্ভব নয়।

বণিক বার্তা আয়োজিত ‘তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন ২০২৪’-এ গতকাল বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, ব্যাংকারসহ বিশিষ্টজনদের আলোচনায় এমন বক্তব্য উঠে আসে। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের গ্র্যান্ড বলরুমে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ সম্মেলন শেষ হয় বেলা ২টায়। এবারের আয়োজনের বিষয় ছিল ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’।

বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য, পাট ও বস্ত্রবিষয়ক উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং বক্তব্য রাখেন।

সম্মেলনে প্যানেল আলোচক হিসেবে দেশের বিভিন্ন খাতের বিশিষ্টজনরা বক্তব্য রাখেন। এর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নেন মাল্টিমোড গ্রুপ ও ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। জ্বালানি ও অবকাঠামো বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী। এছাড়া লিঙ্গবৈষম্য বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, অর্থনৈতিক বৈষম্য বিষয়ে ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী, প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) বিষয়ে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) প্রেসিডেন্ট এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাভেদ আখতার, ব্যাংক খাত বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সেলিম আর এফ হোসেন, ব্যাংক খাত ও ডিজিটাল ইকোনমি বিষয়ে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, ব্যবসায় আইন ও ব্যবসায় পরিবেশ বিষয়ে এমসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নিহাদ কবির এবং পুঁজিবাজার বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে অংশ নেন দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রাজনীতিক, ব্যাংকের চেয়ারম্যান-এমডি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রায় পাঁচ শতাধিক অতিথি। নির্ধারিত বক্তাদের আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে ছিল উন্মুক্ত আলোচনা পর্ব। এ আলোচনায় অংশ নেয়া বিশিষ্টজনদের বক্তব্যেও দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সংকট ও সম্ভাবনার নানা দিক উঠে আসে। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার, আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ার, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, আব্দুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম মঈনউদ্দিন মোনেম, ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান, যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান খান।

অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফা কে মুজেরীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক সম্মেলনে আলোচনার সূত্রপাত হয়। তিনি সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিস্তৃত অর্থনৈতিক বৈষম্যের কথা তুলে ধরেন। মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, ‘আজ আমরা যে সমাজে বসবাস করছি, সে সমাজে বৈষম্য স্বাধীনতার পর থেকে যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি। আমরা যদি আমাদের আশপাশের দেশগুলোয় দেখি, সেসব দেশ কিন্তু আমাদের দেশের তুলনায় উন্নত হয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে বৈষম্য ততটা বাড়েনি। সুতরাং বৈষম্য কম রেখেও উন্নতি করা যায়।’

বৈষম্য নিরাময়ের বিষয়ে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘আমাদের নীতি কাঠামো এবং আমাদের অর্থনীতির যে মূল ধারা, সেটি পরিবর্তন করতে হবে। আমরা বর্তমানে যেভাবে উন্নয়ন করছি সে ধারা বৈষম্য কমানোর জন্য সহায়ক নয়। আমাদের নতুন ধারায় উন্নয়ন করা লাগবে, যেখানে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে কোর হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।’

প্যানেল আলোচনায় সমাজের বিভিন্ন স্তরে লিঙ্গবৈষম্যের চিত্র তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মূলে বারবার বৈষম্যের কথা উঠে এসেছে। সরকারি চাকরি, শিক্ষা, কর্মক্ষেত্রসহ অনেক ক্ষেত্রেই বিদ্যমান বৈষম্য দূর করার জন্য শুরু হয়েছিল এ আন্দোলন। উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হলো অর্থনৈতিক বৈষম্য। কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারলে অর্থনৈতিক বৈষম্য কমে আসবে।৷দেশে গুণগত কাজে নারীর অংশগ্রহণ এখনো অনেক কম।’

প্যানেল আলোচক ও সম্মানিত অতিথিরা দেশের অর্থনীতি ও ব্যাংক খাতের ভঙ্গুরতা, বিগত সময়ের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির ভয়াবহতা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি অর্থনীতির নিরাময়গুলোও তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে আমাদের কোনো ব্যক্তিগত এজেন্ডা বা স্বার্থ নেই। দেশের স্বার্থই হলো আমাদের স্বার্থ। আমরা সে স্বার্থ সংরক্ষণের চেষ্টা করছি। রাজনৈতিক সরকারের ক্ষেত্রে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা থাকে। কিন্তু আমাদের সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত ও ত্বরিত গতিতে নেয়া হয়। ভাবনা-চিন্তা করি, কিন্তু অতিদ্রুত সিদ্ধান্ত নিই।’

তিনি বলেন, ‘সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যেতে চাই। স্বল্প বা মধ্যবর্তী সময়ে যেটা করব, ভবিষ্যতে যারাই ক্ষমতায় আসুক, তারা যেন সেগুলোর বাস্তবায়ন করেন। দৃষ্টান্ত স্থাপন করলে জনগণ সন্তুষ্ট থাকবে। তখন সেগুলো বাস্তবায়নে জনগণই রাজনৈতিক সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করবে। আরো সূক্ষ্ম জিনিস নিয়েও তারা কাজ করতে পারবে।’

বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘অতীতে যেভাবে রাজনীতির ব্যবসায়ীকরণ হয়েছে, তাতে কখনো কখনো নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে ব্যবসায়ীদের ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ভালো। আমরা দেখেছি রাজনীতিকে কীভাবে রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে নিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে দিয়ে দেয়া হয়েছে, যারা প্রকৃতপক্ষে অপরাধী। ব্যবসায়ীরা যে সম্মান প্রাপ্য তারা সেটি ধরে রাখতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘ওপরের সঙ্গে সংযোগের কথা বলে গত পাঁচ-ছয় বছরে অনেক বিনিয়োগ করা হয়েছে। শিল্পায়নের আড়ালেও অর্থ পাচার হয়েছে। এটি দূর করার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।’

শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাজার দুয়েক মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। কতজন আহত হয়েছেন সেটি আমরা জানি না। জনগণের অভ্যুত্থানই হচ্ছে এ সরকারের বৈধতা। আজকে আমরা এখানে দ্বিমত পোষণ করতে পারছি, সমালোচনা করতে পারছি; এটাও পরিবর্তন।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের সবার প্রতি আমার পুরোপুরি আস্থা ও আত্মবিশ্বাস রয়েছে। মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াতে আমি দেশব্যাপী ঘুরে বেড়াবে। আমার যতটুকু সক্ষমতা আছে, সেটি দিয়ে আমি ব্যবসার ব্যয় সূচক সহজ করার চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে আপনাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, দয়া করে আপনারাও অংশগ্রহণ করুন। আপনাদের যা প্রয়োজন, সেটি করাই আমার দায়িত্ব।’

দেশের ব্যাংক খাত সংস্কারে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের চেষ্টা করছে। এ বাস্তবতায় দেশে প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কমে যাবে। স্থিতিশীলতা অর্জনে ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দফায় দফায় আলোচনা করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ বদলানো হয়েছে। নতুন পর্ষদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে। প্রতিদিনই বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোর নগদ অর্থপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করছে। একটি ব্যাংক থেকে ২৩ হাজার কোটি টাকা যদি এক পরিবার নিয়ে যায়, তাহলে সেই ব্যাংকের কী থাকে। এসব ক্ষেত্রে নতুন কিছু করতে হবে।’

এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো ধরনের অর্থনৈতিক মন্দা হবে না। তবে দেশে প্রবৃদ্ধির গতি যেভাবে কমে গেছে, তা অনিবার্য ছিল।’

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘করদাতাদের যেন কর অফিসে না আসতে হয়, আমরা সেদিকেই এগোচ্ছি। এ বছর আমরা জাতীয় স্বার্থে, এনবিআরের স্বার্থে (রাজস্ব আহরণ) ছাড় দিয়েছি। অনেক নিত্যপণ্যে শুল্ক ও কর ছাড় দেয়া হয়েছে। যত বৈষম্যমূলক আইন আছে এগুলো আমরা সংস্কার করব। খাতির করে কর অব্যাহতি পাওয়ার সংস্কৃতি থেকেও আমরা বের হতে চাই।’

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘অর্থনীতিতে গণতন্ত্রের প্রতিফলন থাকতে হবে। আজকে আমাদের একটি অলিগার্ক শ্রেণী তৈরি হয়েছে, কারণ আমাদের অর্থনীতি কয়েকজনের হাতে পুঞ্জীভূত। এ পরিস্থিতি উত্তরণে অর্থনীতিকে গণতন্ত্রায়ণ করতে হবে। জিডিপি ও অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির তথ্য দিতে থাকলে তা সাধারণ মানুষের কাজে আসবে না।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিসংখ্যানের ওপর এখন আর কোনো আস্থা নেই। যে পরিসংখ্যানের ওপর বৈষম্য নিরসন করবেন, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করবেন; সেই পরিসংখ্যানটাই আজকে প্রশ্নবিদ্ধ।’

অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য ড. শাহজাহান খান, বুয়েটের অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল ইসলাম, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম মোফাজ্জল হোসেন, যুক্তরাজ্যের রেডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ভিজিটিং প্রফেসর ড. এম নিয়াজ আসাদুল্লাহ্, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা, পূবালী ব্যাংকের সাবেক এমডি আবদুল হালিম চৌধুরী, বিআইবিএমের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক এমডি মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া, কৃষি অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তোফাজ্জল ইসলাম, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাইন উদ্দিন, এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ইমেরিটাস অধ্যাপক এটিএম নুরুল আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদুল জাহীদ ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোনালী ব্যাংক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, পরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ, অগ্রণী ব্যাংক চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার, বেসিক ব্যাংক চেয়ারম্যান হেলাল আহমেদ চৌধুরী, সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার, এনসিসি ব্যাংক চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজ সেলিম, প্রাইম ব্যাংকের চেয়ারম্যান তানজিল চৌধুরী, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, আইএফআইসি ব্যাংক চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন, আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংক চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ার, পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ, অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ ও মোহাম্মদ আশরাফুল হাছান, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল আমিন, ব্র্যাক ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক মঈনউদ্দীন।

ব্যাংক খাতের শীর্ষ নির্বাহীদের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মো. শিরিন, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) এমডি মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এমডি সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী, এনসিসি ব্যাংকের এমডি এম শামসুল আরেফিন, মিডল্যান্ড ব্যাংকের এমডি মো. আহসান-উজ জামান, মধুমতি ব্যাংকের এমডি মো. সফিউল আজম, এনআরবি ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ খান, সীমান্ত ব্যাংকের এমডি রফিকুল ইসলাম, মেঘনা ব্যাংকের এমডি কাজী আহসান খলিল, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের এমডি তারিক মোর্শেদ, সিটিজেনস ব্যাংক এমডি মোহাম্মদ মাসুম, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের এএমডি মতিউল হাসান, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের এএমডি এম আখতার হোসেন, এবি ব্যাংকের এএমডি সৈয়দ মিজানুর রহমান, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের এএমডি মো. নূরুল আজীম ও ডিএমডি মো. আলতাফ হোসেন ভুঁইয়া, সিটি ব্যাংকের এএমডি মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও চিফ ইকোনমিস্ট অ্যান্ড কান্ট্রি বিজনেস ম্যানেজার আশানুর রহমান, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ডিএমডি মাহমুদুর রহমান, আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. ফজলুর রহমান চৌধুরী ও কাজী মাহমুদ করিম।

ব্যবসায়ীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওমেরা পেট্রোলিয়ামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তানজীম চৌধুরী, আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াইজ মোহাম্মদ আর হোসেন, ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান, ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল আফসার, এক্সপো গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান খসরু, থাকরাল ইনফরমেশন সিস্টেমস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাসব বাগচী, মাইওয়ান-মিনিস্টার গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হুমায়ূন কবীর, বিবিএস কেবলসের চেয়ারপারসন প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদার, যশোর চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান খান ও যুগ্ম সম্পাদক এজাজ উদ্দিন টিপু, এমইউসি ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্যামল দাশ, জেরা বাংলাদেশের যোগাযোগ ও লজিস্টিক প্রধান আলিফ নূর, আদানি বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড ইউসুফ শাহরিয়ার।

উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন এবং রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আমিনুল করিম, কমোডর (অব.) মকসুমুল কাদের বিএন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান সাংবাদিক কামাল আহমেদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আজহার উদ্দিন অনিক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম।

এছাড়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হাসান খালেদ ফয়সাল, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) নির্বাহী পরিচালক মো. সাঈদ আহমেদ, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রিয়াদ মতিন, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম, ডিবিএইচ ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিমুল বাতেন, আইপিডিসি ফাইন্যান্সের এমডি রিজওয়ান দাউদ সামস, বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) চেয়ারম্যান ও আইআইডিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম সারওয়ার ভূঁইয়া, বিএলএফসিএর ভাইস চেয়ারম্যান ও অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্সের সিইও কান্তি কুমার সাহা, ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন একনাবিন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের পার্টনার মো. রুকনুজ্জামান, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন রশীদ, হকস বে অটোমোবাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হক, ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাসুদ খান, বিশ্বব্যাংকের লিড গভর্ন্যান্স স্পেশালিস্ট (ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট) সুরাইয়া জান্নাত, ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শহীদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পরিচালক ও লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) খন্দকার সাফাত রেজা, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান ও এক্সপো ফ্রেইট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুল আনাম, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) এস এ আর মো. মঈনুল ইসলাম, লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের উপদেষ্টা খন্দকার আসাদ উল্লাহ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *