সমালোচনার মুখে পড়ে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন থাকলেই ন্যূনতম ২ হাজার টাকা বাধ্যতামূলক কর আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহার করেছে সরকার। রোববার (২৫ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে দীর্ঘ আলোচনার পর তা পাস হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য বাজেটের ওপর আলোচনা করেন।
অর্থবিল পাসের আগে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বক্তব্য রাখেন। প্রস্তাবিত বাজেটে নেওয়া বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্ক ও সমালোচনার প্রেক্ষিতে এসব বিষয়ে সংশোধনী আনার প্রস্তাব আসে। সরকারি ও বিরোধী দলের কয়েকজন সদস্য সংশোধনী প্রস্তাব আনেন। এর মধ্যে ন্যূনতম ২ হাজার টাকার কর বাতিল এবং হজ যাত্রীদের মতো ওমরা হজ যাত্রীদেরও ভ্রমণ কর অব্যাহতির বিষয়টি উল্লেখযোগ্য।
এসব শুনে অর্থমন্ত্রী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে সব সংশোধনী মানা কঠিন বলে তুলে ধরেন। অর্থমন্ত্রী জানান, তিনি কঠিন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এ অবস্থায় কীভাবে তিনি ভারসাম্য রক্ষা করবেন এটা কঠিন কাজ। এর মধ্যেও তাকে বাজেটের নানান বিষয়ে পরিকল্পনা করতে হয়েছে। এরপরও তিনি ন্যূনতম কর বাতিল এবং ওমরা হজ যাত্রীদেরও ভ্রমণ কর থেকে অব্যাহতি দেওয়াসহ কয়েকটি প্রস্তাব গ্রহণ করেন। এর মধ্যে কিছু সরাসরি অর্থবিলে পাস হয়। আর কিছু পরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড–এনবিআরের পক্ষ থেকে পরিপত্র জারির মাধ্যমে জানানো হতে পারে।
অর্থমন্ত্রী তার অর্থবিলের বক্তৃতায় বলেন, ‘এবারের বাজেটের মূল দর্শন হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাজেটের প্রতিটি খাতে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সাড়ে চার কোটি মানুষকে এর আওতায় আনা হয়েছে। এক কোটি মানুষকে বিনা মূল্যে বা স্বল্প মূল্যে খাদ্য দেওয়া হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বেশ কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ ও কিছু বাদ দেওয়ার পর তা কণ্ঠভোটে দেওয়া হলে তা হ্যাঁ ও না ভোটে পাস হয়। পরে অর্থমন্ত্রী অর্থবিল ২০২৩ সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে সেটিই কণ্ঠভোটে পাস হয়।