রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে ইরানের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ব্রিটেন অন্যায় ও অযৌক্তিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এক বক্তব্যে এ দাবি করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘায়ি। খবর রয়টার্স।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টেলিগ্রাম চ্যানেলে তিনি দাবি করেছেন, ইইউ ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলোকে ‘ভিত্তিহীন’ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করছে ইরান। এগুলো অযৌক্তিক ও আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী।
গতকাল সোমবার ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান শিপিং লাইনস (আইআরআইএসএল) এবং এর পরিচালককে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করেছে ব্রাসেলস। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের জন্য তেহরানের সমর্থনের পরিণতি হিসেবে ঘোষণার কথা বলা হয়েছে।
একই দিনে, ইরানের জাতীয় বিমান সংস্থা এবং শিপিং ক্যারিয়ারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাজ্য। কারণ হিসেবে তারা বলেছে যে, রাশিয়ায় ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থানান্তরের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মস্কো ও তেহরানের সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়েছে।
বাঘায়ি তার বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ইরানের নৌপরিবহন ও সামুদ্রিক বাণিজ্যের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করছে ইউরোপীয় দেশগুলো।
এদিকে গাজায় চলমান জাতিগত নিধন অভিযানের বিষয়টিকে অস্বীকার করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তাকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ‘চরম ভয়ঙ্কর ও মারাত্মক অমানবিক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
ইসমাইল বাঘায়ি বলেছেন, গাজায় জাতিগত নিধন অভিযানের বিষয়টি অস্বীকার করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ওই সাবেক ঔপনিবেশিক দেশটির রাষ্ট্রীয় বর্ণবাদী নীতিরই অংশ। ওই নীতি অনুসরণ করে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে সব ধরনের মারণাস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করার মাধ্যমে লন্ডন গাজায় চলমান অপরাধযজ্ঞে তেল আবিবের সহযোগীর ভূমিকা পালন করেছে।