ভারতের রপ্তানিতে বড় ধরনের পতন হয়েছে। জুন মাসে দেশটির রপ্তানি কমেছে ২২ শতাংশ। এই সময় দেশটি রপ্তানি করেছে ৩৩ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের পণ্য। এ নিয়ে টানা পাঁচ মাস ভারতের রপ্তানি কমল।
ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, গত তিন বছরে ভারতের রপ্তানি এতটা কমেনি। ২০২০ সালের মে মাসে করোনাভাইরাসের লকডাউনের মধ্যে রপ্তানি কমেছিল ৩৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ। তখন অবশ্য করোনা মহামারির চূড়ান্ত সময়, প্রায় সারা বিশ্ব লকডাউনের অধীনে। কিন্তু এখন সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও রপ্তানি এতটা কমেছে।
রপ্তানি কমার সঙ্গে সঙ্গে জুন মাসে ভারতের আমদানিও কমেছে ১৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। সে মাসে আমদানি হয়েছে ৫ হাজার ৩১০ কোটি ডলারের পণ্য। এতে অবশ্য একটা লাভ হয়েছে ভারতের, সেটা হলো বাণিজ্য ঘাটতি কমে ২ হাজার ৩০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মতো বড় অর্থনীতির দেশগুলো দোলাচলে। চলতি বছর এই দেশগুলোতে মন্দার আশঙ্কা করা হলেও শেষমেশ তা হয়নি, যদিও চাহিদার গ্রাফ নিম্নমুখী।
জানা গেছে, ভারতীয় পণ্য কেনা কমিয়েছে জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশ। সে কারণেই কমেছে রপ্তানি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, প্রধান ৩০টি রপ্তানি খাতের মধ্যে ২১টিতেই গত মাসে রপ্তানি কমেছে।
বাণিজ্যসচিব সুনীল বর্থোয়াল ইকোনমিক টাইমসকে বলেন, ‘রপ্তানি নির্ভর করছে বৈশ্বিক পরিস্থিতির ওপর; আন্তর্জাতিক বাণিজ্য গতি হারাবে বলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, তা ক্রমেই সত্যি হচ্ছে।’ তবে জুলাই থেকে রপ্তানি বাড়বে বলে আশা তাঁর।
যেসব খাতের রপ্তানি কমেছে, সেগুলোর মধ্যে প্রধান প্রধান পণ্য হলো পাথর ও স্বর্ণালংকার ৩৩ শতাংশ, টেক্সটাইল বা বস্ত্র ২৭ শতাংশ, যন্ত্রপাতি ও উপকরণ ২৫ শতাংশ, রাসায়নিক ২৪ শতাংশ ও যোগাযোগ উপকরণ ২২ শতাংশ।
জুন মাসে কেবল ওষুধের রপ্তানি বেড়েছে, এই খাতের রপ্তানি বেড়েছে ৪ শতাংশ।