প্রিয়াঙ্কার পর মাতিলদা, অপেক্ষায় সামান্থা

অ্যাকশন সিনেমায় নতুনত্ব নিয়ে এসেছেন রুশো ভ্রাতৃদ্বয় (জো ও অ্যান্থনি)। নির্মাণ ছাড়াও একের পর এক প্রকল্পে প্রযোজক বা নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে যুক্ত হয়েছেন তাঁরা। যার সর্বশেষ উদাহরণ ‘সিটাডেল: ডিয়ানা’। অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও সিরিজটি মুক্তি পেয়েছে গত বৃহস্পতিবার।

‘সিটাডেল’ ইউনিভার্সের স্রষ্টা জশ অ্যাপেলবাম, নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে আছেন রুশো ভ্রাতৃদ্বয়। বছর তিনেক আগে তাঁরা বিভিন্ন ভাষায় এই ইউনিভার্সের সিরিজ নির্মাণের ঘোষণা দেন। যার প্রথম কিস্তি ‘সিটাডেল’ মুক্তি পায় গত বছরের এপ্রিলে। যেখানে অন্যতম প্রধান চরিত্রে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এবার এসেছে এই ইউনিভার্সের ইতালীয় সংস্করণ ‘সিটাডেল: ডিয়ানা’।

প্রতিটি সিরিজের গল্প আলাদা। তবে মূল সুর একই। সিটাডেল এক কাল্পনিক গুপ্তচর সংস্থা। এই সংস্থার এজেন্টের বিভিন্ন অভিযানের গল্প নিয়ে নির্মিত হয় সিরিজগুলো। এবারের ‘ডিয়ানা’ কেমন হলো?

প্রিয়াঙ্কার ‘সিটাডেল’ সমালোচকদের সেভাবে মন ভরাতে পারেনি। সারা দুনিয়ায় গুপ্তচরভিত্তিক এন্তার সিরিজ-সিনেমা হয়েছে; সেগুলোর মধ্যে আলাদা নজর কাড়তে পারেনি সিরিজটি। মুক্তির পর ‘ডিয়ানা’কেও মাঝারি মানের বলে রায় দিয়েছেন সমালোচকেরা। তবে ডিয়ানা চরিত্রে নজর কেড়েছেন ইতালীয় অভিনেত্রী মাতিলদা দি অ্যাঞ্জেলিস। অ্যাকশন, আবেগের দৃশ্যগুলোতে তাঁর অভিনয় আলাদা করে প্রশংসা পেয়েছে।

সিরিজটি ইতালীয় এক কিশোর ডিয়ানার গল্প। আল্পসে এক বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। পরে সে জানতে পারে, সেটা দুর্ঘটনা ছিল না! কিন্তু এই হত্যার প্রতিশোধ সে কীভাবে নেবে? প্রতিশোধের নেশায় মরিয়া ডিয়ানাকে পেয়ে দলে ভেড়ায় সিটাডেল, সে হয়ে ওঠে সংস্থার অন্যতম শীর্ষ এজেন্ট। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে ডিয়ানা সিটাডেলে যোগ দেয়, তা পূরণ হয় না। মওকা পেয়ে ঠিক করে ‘স্বাভাবিক’ জীবনে ফিরে যাবে। কিন্তু কাজ তো সহজ নয়।

সমালোচকেরা বলছেন, অ্যাকশন, আবেগ আর বাস্তবঘেঁষা চিত্রনাট্য মিলিয়ে সিরিজটি মন্দ নয়, তবে বড্ড চেনা গল্প। তবে এটা যে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অভিনীত প্রথম সিরিজটির চেয়ে ভালো, সেটা প্রায় সব সমালোচকই বলেছেন।

ডিয়ানা চরিত্রে অভিনয় করা মাতিলদাকে ইতালির অন্যতম সম্ভাবনাময় অভিনেত্রী মনে করা হচ্ছে। অভিনয়ের সঙ্গে তিনি গানটাও ভালো করেন। ২৯ বছর বয়সী অভিনেত্রী এখন পর্যন্ত ‘ইতালিয়ান রেস’, ‘রোজ আইল্যান্ড’, ‘দ্য ল অ্যাকর্ডিং টু লিন্ডা পোয়েট’, ‘দ্য আনডুয়িং’–এর মতো সিনেমা-সিরিজ করেছেন। এই ডিয়ানাকে দেখা হচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাঁর পরিচিতি পাওয়ার মঞ্চ হিসেবে। এ প্রসঙ্গে অনলাইন গণমাধ্যম কোলাইডারকে তিনি বলেন, ‘আমি শুটিংয়ের আগে চার মাস নিবিড় অনুশীলন করেছি, যাতে পর্দায় নিজের ছাপ রাখতে পারি।

বেশির ভাগ অ্যাকশন দৃশ্যের স্টান্ট নিজেই করেছি, বারবার চিত্রনাট্য পড়ে চরিত্রটির মনস্তত্ত্ব বোঝার চেষ্টা করেছি।

এই সিরিজ আমার জন্য বড় সুযোগ। সেটাকে কাজে লাগানোর জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করেছি।’ মুক্তির আগে বারবার প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে তাঁর তুলনা হয়েছে। তবে মাতিলদা মনে করেন, প্রিয়াঙ্কার মতো বৈশ্বিক তারকার সঙ্গে তাঁর তুলনাই চলে না।

কেবল প্রিয়াঙ্কা, মাতিলদা নন, ‘সিটাডেল’–এ আলোচনায় ঢুকে পড়েছেন সামান্থা রুথ প্রভুও। এই ইউনিভার্সের ভারতীয় সংস্করণ ‘সিটাডেল: হানিবানি’ মুক্তি পাবে আগামী ৭ নভেম্বর। রাজ ও ডিকের সিরিজটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে সামান্থাকে। ১৫ অক্টোবর মুক্তি পাবে সিরিজটির ট্রেলার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *