অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যেই সংস্কার অভিমুখে যাত্রা করেছে। এ লক্ষ্যে ছয়টি কমিশন গঠিত হয়েছে এবং প্রতিটি কমিশনই খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের সঙ্গে যুক্ত দুটি কমিশনের দিকে নজর থাকবে বেশি। কেননা নিরঙ্কুশ সংসদীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাষ্ট্রের এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের স্বার্থে বিগত সরকারগুলো এতটাই যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করেছে যে এগুলোর সংস্কার ছাড়া নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও প্রকৃত জনগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা অসম্ভব।
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কেন প্রয়োজন
‘কী প্রয়োজন’ জানার আগে জানতে হয় তা ‘কেন প্রয়োজন’। সমস্যা চিহ্নিত করতে পারলে, ফ্রেমওয়ার্ক ধরে সমাধানে পৌঁছানো সহজ হয়। অভিজ্ঞতা বলে, বাংলাদেশে সমস্যাটির নাম ‘নিরঙ্কুশ ক্ষমতাজনিত অগণতান্ত্রিকতা’। স্বাধীনতার পর যারাই নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ‘উপভোগ’ করেছে, তারাই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনআকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে নিয়ে গেছে।
পাকিস্তানের গণপরিষদ নির্বাচনে পাওয়া জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে স্বাধীন বাংলাদেশে সরকার (অস্থায়ী) ও অস্থায়ী গণপরিষদ গঠন করে আওয়ামী লীগ। এরপর ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চের প্রথম সাধারণ নির্বাচনেও তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এটাকে কাজে লাগিয়ে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বাকশাল প্রবর্তন করা হয়।
পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের পর ১৫ বছর নিরঙ্কুশ ক্ষমতায় ছিল একাধিক সামরিক সরকার। মাঝে শুধু ১৯৯১-২০০১ সাল পর্যন্ত তিনটি (আদতে দুটি) সংসদীয় মেয়াদে বাংলাদেশে ক্ষমতার ‘চেক অ্যান্ড ব্যালান্স’ ছিল। বলা যায়, তথাকথিত ‘নির্বাচনী গণতন্ত্র’ বন্দোবস্তে এটাই স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ‘সোনালি দশক’; যদিও তাতে ‘কলঙ্কতিলক’ ছিল ছিয়ানব্বয়ের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন। তবু দশকটা ভালো ছিল, পরের সময়ের বিবেচনায়।
নতুন শতাব্দীর কোনো নির্বাচনেই আগের শতাব্দীর শেষ দশকের ‘চেক অ্যান্ড ব্যালান্স’ আসেনি। ফলে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা পুরো রাষ্ট্রীয় কাঠামোকেই দোদুল্যমান করেছে। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানকে ব্যবহার করে তিনটি ‘ভুয়া’ ও ‘জালিয়াতির’ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতাকে নিজেদের সম্পত্তিতে পরিণত করেছিল।
এই যে স্বৈরাচার তৈরির কাঠামো, তার ‘বিষদাঁত’ আমরা দেখে ফেলেছি। এই বিষদাঁত উপড়ে ফেলতেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত জরুরি। সে লক্ষ্যেই প্রয়োজন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার: সংখ্যাগরিষ্ঠ বনাম বৃহদংশ
বাংলাদেশে নির্বাচনব্যবস্থায় যে বা যারা মোট প্রদত্ত ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তারাই বিজয়ী হয়। একে বলা হয় ফার্স্ট-পাস-দ্য-পোস্ট (এফপিটিপি) নির্বাচনপদ্ধতি। খুবই সাধারণ ও সরল একটি নিয়ম, যা আমজনতা সহজেই বুঝতে পারে। পৃথিবীর বহু দেশেই এটি জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি।
জাতীয় বা সাধারণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পদ্ধতিটি আসনভিত্তিক। এ পদ্ধতিতে লড়াইটা হয় নির্দিষ্ট প্রতীকে দাঁড়ানো ব্যক্তির বিপক্ষে ব্যক্তির। সুনির্দিষ্ট আসনে ব্যক্তি ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে’ জিতলেই তা দল বা প্রতীকের কেন্দ্রীয় হিসাবের খাতায় যুক্ত হয়।
ফলে কোনো আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ‘একমাত্র বিজয়ী’ নির্ধারিত হয়ে গেলে বৃহদংশের ভোট একদমই অগুরুত্বপূর্ণ-অর্থহীন হয়ে ওঠে। নামে গণতান্ত্রিক হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতাভিত্তিক ‘একমাত্র বিজয়ীর’ চিন্তা পদ্ধতিটিই অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী শাসন কায়েমের সহায়ক। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়, প্রয়োজন বৃহদংশের মতের প্রতিফলন। ‘একমাত্র বিজয়ী’র চেয়ে ‘বহু বিজয়ী’র অংশগ্রহণ গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে বেশি।
বহুদলীয় গণতন্ত্র নাকি বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্র
ব্যবহারিকভাবে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র’ একটি রাষ্ট্রের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত দিক। কিন্তু বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মানদণ্ড হলো ‘ভোট, ভোট ও ভোট’। গণতন্ত্রের অন্যান্য চাবিকাঠির কথা সেভাবে উচ্চারিতও হয় না। শুধু ভোট-গণতন্ত্রই যদি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়, তাহলে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রে’র চেয়ে উত্তম বিধান হলো ‘বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্র’। এ বিধান কেউই আমাদের এনে দিতে পারেনি এবং সংসদে বহু দলের অনুপস্থিতির অভাব বাংলাদেশে আমরা এই শতাব্দীতে হাড়ে-মজ্জায় টের পেয়েছি।
‘বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠায় পৃথিবীর বহু দেশ এফপিটিপিকে খারিজ করে অন্যান্য নির্বাচনব্যবস্থার প্রতি আস্থাজ্ঞাপন করেছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনব্যবস্থা বা প্রোপরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর), যা পৃথিবীর শতাধিক দেশে প্রচলিত আছে। পিআর সাধারণত তিন ধরনের—দলীয় তালিকা, মিশ্র সদস্য ও একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটপদ্ধতি।
মিশ্র সদস্য (মিক্সড মেম্বার) ও একক হস্তান্তরযোগ্য (সিঙ্গেল ট্রান্সফারেবল) ভোটপদ্ধতি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক পরিপ্রেক্ষিতে একটু জটিল হবে। সহজ হতে পারে দলীয় তালিকা (পার্টি লিস্ট) পদ্ধতি, যেটি পিআর অনুসারী দেশগুলোর মধ্যে ৮০ শতাংশ দেশ ব্যবহার করে। এই পদ্ধতির দুটি ধরন: বদ্ধ (ক্লোজড) ও মুক্ত (ওপেন) দলীয় তালিকাপদ্ধতি।
বদ্ধ পদ্ধতিতে প্রার্থীদের তালিকা দল থেকে আগাম র্যাংকিং (ক্রম) করে রাখা হয়। তাই ভোটাররা প্রার্থীকে নয়, সরাসরি দলকে ভোট দেন। দল জনপ্রিয় ভোটের (পপুলার ভোট) অনুপাতে যতগুলো আসন পায়, সেই আসনগুলো র্যাংকিংয়ের ক্রম অনুযায়ী আগাম মনোনীত প্রার্থীদের বরাদ্দ করা হয়। এর অর্থ হলো, ৩০০ আসনের তালিকা করে রাখলেও, যদি কোনো দল সংখ্যানুপাতে ১০০টি আসন পায়, তাহলে র্যাংকিংয়ের প্রথম ১০০ জন আসন বরাদ্দ পাবেন।
মুক্ত দলীয় পদ্ধতিতে দল প্রার্থীর নাম দেয়, তবে কোনো র্যাংকিং করে না। ভোটাররাই ব্যালটে উল্লেখিত নাম থেকে ঠিক করেন নির্দিষ্ট কনস্টিটিয়েন্সিতে তারা কাকে ভোট দেবেন। নির্দিষ্ট কনস্টিটিয়েন্সিতে প্রার্থী জিতুক বা হারুক, তার পাওয়া প্রতিটি ভোট দলের কেন্দ্রীয় হিসাবের খাতায় যুক্ত হয়। এভাবে সব কনস্টিটিয়েন্সি মিলিয়ে দল যতটি জনপ্রিয় ভোট পায়, তাদের আসনসংখ্যা সেই প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে নির্ধারিত হয়।
পিআর পদ্ধতিতে বড় বা ছোট, যে দলেরই সমর্থক হোক, প্রতিটি ভোটারের ভোটই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে বড় দলগুলোর পাশাপাশি ছোট দলগুলোও প্রাপ্ত জনপ্রিয় ভোটের সংখ্যানুপাতে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের ৩০০ আসনের হিসাবে একটি দল প্রতি ০.৩৩% ভোটের বিপরীতে একটি আসন পাবে; যা প্রকৃতপক্ষেই ‘বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্রে’র পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরবে।
এই পদ্ধতি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দলকে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা তো দেয়ই না, সরকার গঠনের নিশ্চয়তাও দেয় না। বরং সরকার গঠনের ম্যাজিক নম্বর (১৫১) যদি দ্বিতীয় হওয়া দলটিও ছোট দলগুলোর সঙ্গে কোয়ালিশন করে ছুঁয়ে ফেলতে পারে, তাহলে তারাই বরং বৃহদংশ হিসেবে সরকার গঠন করবে।
এ জন্যই এ পদ্ধতি একাধিপত্যবাদী একদলীয় শাসনকে নাকচ করতে পারে। অথচ অতীতে দেখা গেছে সারা দেশে মাত্র ৪০ থেকে ৪১ শতাংশ জনপ্রিয় ভোট পেয়ে দুই-তৃতীয়াংশ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে কোনো দল বা জোট পুরো সংসদ তথা রাষ্ট্রে একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে। কিন্তু তাদের বিপরীতে সব দল মিলিয়ে জনপ্রিয় ভোট বেশি পেলেও বিরোধী দলগুলো সংসদে কোণঠাসা হয়ে থাকে।
এ প্রসঙ্গে ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচন দারুণ উদাহরণ হতে পারে। ২০০১ সালে বিএনপি ৪০ দশমিক ৯৭ শতাংশ জনপ্রিয় ভোটে পেয়েছিল ১৯৩টি, বিপরীতে ৪০ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোটে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৬২টি আসন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ৪৯ শতাংশ ভোটে ২৩০টি, বিপরীতে ৩৩ দশমিক ২০ শতাংশ ভোটে বিএনপি আসন পেয়েছিল ৩০টি।
অন্যদিকে সংসদীয় নির্বাচনী গণতন্ত্রের ‘সোনালি দশকে’ ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটে পেয়েছিল ১৪০টি, আওয়ামী লীগ ৩০ দশমিক ০১ শতাংশ ভোটে পেয়েছিল ৮৮টি আসন। ১৯৯৬ সালের জুনের সপ্তম সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩৭ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটে পেয়েছিল ১৪৬টি, বিপরীতে বিএনপি ৩৩ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটে পেয়েছিল ১১৬টি আসন।
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনব্যবস্থা বাংলাদেশের জন্য উন্নত বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্র এনে দিতে পারে, তা বোধ হয় আর না বললেও চলে!
পিআর ও বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্রের সঙ্গে দ্বিকক্ষীয় সংসদ
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (পিআর) নির্বাচনব্যবস্থা তথা বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্রকে আরও সুসংহত, জনপ্রতিনিধিত্বমূলক ও জবাবদিহিমূলক করতে পারে দ্বিকক্ষীয় সংসদীয় ব্যবস্থা। মালদ্বীপ বাদে উপমহাদেশের সব দেশসহ পৃথিবীর বহু দেশে দ্বিকক্ষীয় সংসদীয় ব্যবস্থা চালু আছে।
অথচ এতে বিপুল জনসংখ্যার ক্ষুদ্রায়তনিক বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো দ্বিকক্ষীয় ব্যবস্থার কথা চিন্তাও করতে পারেনি। এমনকি নিরঙ্কুশ ক্ষমতা পাওয়ার পরও পারেনি, যখন কিনা তাদের সুযোগ ছিল সংসদীয় গণতন্ত্রকে আরও টেকসই করার। গণতন্ত্রের স্বার্থে সংসদের উচ্চকক্ষ-নিম্নকক্ষ চালু এখন পরিবর্তিত সময়েরই চাহিদা।
বিভিন্ন দেশের চালু প্রথা মোতাবেক, নিম্নকক্ষের সদস্যরা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। তবে উচ্চকক্ষের সদস্য নির্বাচনের হরেকরকম তরিকা আছে। আমরা মনে করি, নিম্নকক্ষের যাবতীয় আইন ও বিল পাসকে জবাবদিহির আওতায় আনতে উচ্চকক্ষে সমাজের সর্বস্তরের পেশাজীবী-নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত। আর এই প্রতিনিধি নির্বাচনে বাংলাদেশে ফেডারেল রাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রাদেশিক সরকারব্যবস্থাও চালু করা প্রয়োজন।
প্রদেশ, প্রাদেশিক সরকার ও উচ্চকক্ষ
ফেডারেল ব্যবস্থায় বাংলাদেশকে চার-পাঁচটি প্রদেশে ভাগ করা যেতে পারে। যেমন উত্তরাঞ্চল (রাজশাহী-রংপুর বিভাগ), মধ্যাঞ্চল (ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগ), পূর্বাঞ্চল (চট্টগ্রাম-সিলেট বিভাগ) এবং দক্ষিণাঞ্চল (খুলনা-বরিশাল-প্রস্তাবিত পদ্মা বিভাগ)। রাজধানীকে ‘ইউনিয়ন ক্যাপিটাল টেরিটরি’ হিসেবে পঞ্চম ‘প্রদেশ’ গণ্য করা যেতে পারে। প্রাদেশিক সরকার গঠন হতে পারে উপজেলাভিত্তিক আসনবণ্টনের মাধ্যমে। সে ক্ষেত্রে উপজেলা-জেলা পরিষদ বাতিল করে স্থানীয় সরকারকে পৌরসভা ও ইউনিয়নের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত।
পৃথিবীর বহু দেশে উচ্চকক্ষ কখনো বিলুপ্ত হয় না এবং কক্ষের একটি নির্দিষ্টসংখ্যক আসন ২ থেকে ৩ বছর পরপর শূন্য করে ফের বিধি অনুযায়ী প্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়। বাংলাদেশে উচ্চকক্ষের প্রতিনিধিরা প্রাদেশিক আইনসভার দ্বারা নির্বাচিত হবেন, তাতে ফেডারেল সরকার প্রদেশের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না।
কোথাও কোথাও উচ্চকক্ষে রাষ্ট্রপতি-নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকেন। উচ্চকক্ষ সরাসরি রাষ্ট্রপতির কাছেই জবাবদিহি করে। বাংলাদেশে প্রাদেশিক গভর্নর নন, প্রাদেশিক জবাবদিহির মূল কেন্দ্র হবেন রাষ্ট্রপতি। অর্থাৎ সংসদের উচ্চকক্ষের পাশাপাশি প্রাদেশিক পরিষদের প্রধানও হবেন রাষ্ট্রপতি। সব মিলিয়ে ক্ষমতাকাঠামোর এক চমৎকার ভারসাম্য ঘটতে বাধ্য।