জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আনা গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় অবিলম্বে, নিঃশর্ত এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি উল্লেখ করে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর সিএনএন।
গতকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) ভেটো দেয়ার পর মার্কিন উপদূত রবার্ট উড বলেন, আমরা আলোচনার পুরো সময় জুড়ে স্পষ্ট করেছিলাম যে, এমন একটি নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি সমর্থন করতে পারব না যা বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হবে। কারণ যুদ্ধের স্থায়ী অবসান অবশ্যই বন্দীদের মুক্তির সঙ্গে আসতে হবে। এই দুটি জরুরি লক্ষ্য অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এই প্রস্তাব সেই প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্র এটি সমর্থন করতে পারেনি।
গাজায় এখনো সাতজন আমেরিকান নাগরিক বন্দি রয়েছে। তাদের মুক্তির ব্যাপারে উড বলেন, আমরা তাদের ভুলব না।
নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের কাছে ১০টি অস্থায়ী সদস্য দেশ কর্তৃক উত্থাপিত প্রস্তাবটিতে ‘সব পক্ষকে সম্মান জানিয়ে অবিলম্বে, নিঃশর্ত এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান এবং সকল বন্দির অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তির’ জন্য পুনরায় দাবি জানিয়েছিল।
তবে মার্কিন কর্মকর্তাদের মত, প্রস্তাবের ভাষাটি যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল না, কারণ সেখানে যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে বন্দিদের মুক্তির ওপর জোর দেয়া হয়নি।
উড দাবি করেন, প্রস্তাবের লেখকরা আপোষের ভাষা বিবেচনা করেনি, যা প্রস্তাবটি পাস করাতে পারত। তিনি উল্লেখ করেন যে, এটি ৭ অক্টোবরের সন্ত্রাসী হামলার জন্য হামাসকে নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্যের মধ্যে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। এবার যুক্তরাজ্যও যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিয়েছে।
ভোটের আগে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন বলেছিলেন যে, প্রস্তাবের অনুমোদন হত একটি বিশ্বাসঘাতকতা।
ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা ভেটোকে নিন্দা জানিয়েছেন। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি মিশনের উপ-রাষ্ট্রদূত মাজেদ বামিয়া বলেন, নাগরিকদের গণহত্যার কোনো অধিকার ইসরায়েলের নেই। বেসামরিক সব মানুষকে অনাহারে রাখার অধিকারও নেই। একটি জনগণকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার অধিকার নেই। ইসরায়েল গাজায় এসবই করছে।