চিনির সাথে মানবদেহের সম্পর্ক বেশ জটিল। আমাদের দেহে চিনির প্রয়োজনীয়তা থাকলেও তা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মাঝে মাঝে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার তাগিদ অনুভূত হয়। এটা মন্দ নয়।
তবে প্রতিদিন মিষ্টি জাতীয় খাবার বা চিনি খাওয়া করা শরীরের বারোটা বাজাতে পারে।
ত্বক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গীতিকা মিত্তাল গুপ্ত তার ইন্সটাগ্রাম পোস্টে আমাদের ত্বকে চিনির প্রভাব এবং প্রতিনিয়ত এর ব্যবহারে ত্বকের যে ক্ষতি হয় তার সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, আপনি কি জানেন চিনি আপনার ত্বকের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। চিনি চেহারা এবং পুরো ত্বকের জন্য বিভিন্ন উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
এর সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
জ্বালাপোড়া: চিনি আমাদের ত্বকে জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি করতে পারে। এতে লালচে ভাব ও অস্বস্তিভাব দেখা দিতে পারে। এমন অবস্থায় বেশি করে ফলমূল, শাকসবজি খাওয়া ছাড়াও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
গ্লাইকেশন: এটা এমন এক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ত্বকে দ্রুত বয়সের ছাপ ফেলতে পারে। ত্বকের কোলাজেন এবং ইলাস্টিন ফাইবার শক্ত হতে থাকে এবং ত্বকের প্রাণবন্ত অবস্থা নষ্ট হয়ে যায়।
বলিরেখা: চিনি কোলাজেন এবং ইলাস্টিন ফাইবার নষ্ট করে ত্বকে বলিরেখা ফেলে। এই বলিরেখা প্রতিরোধে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। বিশেষ করে ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর অক্সিডেন্টকে প্রতিরোধ করে।
কোলাজেন: চিনি ত্বকে কোলাজেন তৈরি হতে বাধা দেয়। সাধারণত কোলাজেন ত্বকের নমনীয়তা রক্ষা করে। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার কোলাজেন সংশ্লেষণ বৃদ্ধি করে। যেমন মিষ্টি আলু ও গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ আছে।
নিষ্প্রভতা: চিনির রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এর প্রভাব ত্বককে নিষ্প্রভ করে দেয়। ত্বককে সবসময় পানিপূর্ণ রাখতে হবে এবং ভিটামিনযুক্ত খাবারকে প্রধান্য দিতে হবে।
ভারসাম্যহীনতা: চিনি ত্বকের সাধারণ ভারসাম্য নষ্ট করে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে বাধা দেয়। প্রতিদিন ত্বকের সঠিক যত্ন নিতে হবে এবং সঠিক খাদ্যতালিকা অনুসরণ করতে হবে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে